কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তান কোনোভাবেই টলাতে পারছে না ভারতকে। ভারত
বরাবরই বিষয়টি অভ্যন্তরীণ বললেও ইমরান খান নাছোড় বান্দা। জাতিসংঘের ৭৪তম
সাধারণ অধিবেশনে চলমান কাশ্মীর সংকট, ভারতের সঙ্গে বৈরিতা ও অন্যান্য ইস্যু
নিয়ে বিশ্বনেতাদের কাছে জোরালো বক্তব্য দিয়েছেন ইমরান খান। তিনিই নাকি
ক্ষমতা হারাতে চলেছেন?
ভারতীয় গণমাধ্যম জি নিউজে খবর এসেছে পাকিস্তানে ফের সেনা অভ্যুত্থানের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
জি নিউজ জানায়, ১১১ ব্রিগেডের ছুটি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছেন
পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ বাজওয়া। কিন্তু ছুটি বাতিলের
সঙ্গে সেনা অভ্যুত্থানের কী সম্পর্ক? আসলে পাকিস্তানে প্রতিবার সেনাবাহিনী
১১১ ব্রিগেড ব্যবহার করে নির্বাচিত সরকার ফেলে দিয়েছে। এর পাশাপাশি বাজওয়া
দেশের শীর্ষ শিল্পপতিদের সঙ্গেও বৈঠক করেছেন বলেও জানায় এই ভারতীয় মিডিয়া।
বলা হচ্ছে, ১১১ ব্রিগেড রাওয়ালপিন্ডিতে মোতায়েন করা হয়। পাকিস্তানি সেনা
হেডকোয়ার্টারে থাকে ঐ বাহিনী। সমস্ত সেনা সদস্যের ছুটি বাতিল করে অবিলম্বে
কাজে যোগ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
জি নিউজের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইমরান খানকে ক্ষমতায় বসানোর নেপথ্যে
পাকিস্তানের সেনাবাহিনী রয়েছে বলে দাবি সে দেশেরই বিরোধীদের। আর সেনার
হাতের পুতুল ইমরান কাশ্মীরে ভারতের পদক্ষেপ (৩৭০ প্রত্যাহার) যেভাবে
সামলেছেন, তাতে খুশি নন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল কামার জাভেদ
বাজওয়া। এর আগেও তিন বার পাকিস্তানে গণতান্ত্রিক সরকারকে ফেলে ক্ষমতা দখল
করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী।