ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনে ছাড়ার অপেক্ষায় রয়েছে পাবনা থেকে রাজশাহীগামী ট্রেন পাবনা এক্সপ্রেস। ঠিক ওই সময় প্রকৃতির ডাকে সাড়া দিতে ট্রেনের টয়লেটে যান লোকোমাস্টার (এলএম বা ট্রেনচালক) আসলাম উদ্দিন খান। কিন্তু ওই সময় তার মোবাইল ফোনটি টয়লেটের ফোকর দিয়ে নিচে পড়ে যায়।
মোবাইল ফোনটি আনতে তিনি ট্রেন থেকে নিচে নামামাত্রই ট্রেন চালাতে শুরু করেন সহকারী চালক (এএলএম) আহসান উদ্দিন।
রবিববার সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ট্রেনটির এলএম, এএলএম ও পরিচালককে সাময়িক বরখাস্ত করে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, ট্রেনটি রাজশাহী পৌঁছার আগেই এ খবর রেলওয়ে পাকশী বিভাগীয় পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) ও ব্যবস্থাপক (ডিআরএম) অফিসে চলে যায়। সন্ধ্যায় ঘটনার সত্যতা পেয়ে ট্রেনের এলএম, এএলএম ও পরিচালককে প্রত্যাহার করে বিকল্প লোক দিয়ে ট্রেনটি রাজশাহী থেকে পাবনায় ফেরত আনা হয়। পরে তাদের বরখাস্ত করা হয়।
সাময়িকভাবে বরখাস্ত এলএম আসলাম উদ্দিন খান জানান, রাজশাহীতে যাওয়ার উদ্দেশে বাইপাস স্টেশনে ট্রেনের বিরতি দেন। ওই সময় তার পায়খানার বেগ আসে। তিনি সহকারী চালককে বলে টয়লেটে যান। কিন্তু টয়লেটের ফোকর দিয়ে মোবাইল ফোনসেট পড়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েন তিনি।
তিনি দাবি করেন, রাজনৈতিক কারণে একটি পক্ষ বিষয়টি রং মাখিয়ে রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ ও সংবাদকর্মীদের জানিয়েছে।
এ ব্যাপারে ট্রেনটির পরিচালক (গার্ড) আনোয়ার হোসেন জানান, ট্রেনটি পাবনা থেকে রাজশাহী যাওয়ার পথে বাইপাস স্টেশনে বিরতি দেয়। বিরতি শেষে যথাযথ নিয়মে ট্রেন ছাড়ার জন্য সংকেত দিলে ট্রেন রাজশাহীর দিকে গমন করে। পরে রাজশাহী গিয়ে তারা জানতে পারেন চালক আসলাম উদ্দিন খান বাইপাস থেকে পরবর্তী স্টেশন আব্দুলপুর পর্যন্ত ট্রেনে অনুপস্থিত ছিলেন।