চীনে কমিউনিস্ট পার্টির সত্তরতম বার্ষিকীর কয়েকদিন আগেই চালু হলো নতুন এক বিমানবন্দর। তারামাছের আদলে তৈরি বিশাল বিমানবন্দরটিতে চারটি রানওয়ে আছে। প্রয়োজনে আরো তিনটি রানওয়ে যোগ করা যাবে।
তারামাছ সাধারণত সমুদ্রের নীচে দেখা গেলেও চীন সেটা তুলে এনেছে মাটির উপরে। রাজধানী বেইজিং থেকে ৪৫ কিলোমিটার দক্ষিণে সাত লাখ বর্গমিটার এলাকায় তারামাছের আদলে এক বিমানবন্দর তৈরি করা হয়েছে। বেইজিং ডেক্সিং বিমানবন্দরটি ভবিষ্যতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় বিমানবন্দরে পরিনত হবে বলে আশা করা হচ্ছে। খবর ডয়চে ভেলের।
বিমানবন্দরটির স্থপতি জাহারা হাদিদ ২০১৬ সালে মৃত্যবরণ করেন। তিনি এটি এমনভাবে ডিজাইন করেছিলেন যাতে ২০৪০ সাল নাগাদ বছরে সাত কোটি ২০ লাখ যাত্রী বিমানবন্দরটি ব্যবহার করতে পারে। এটি তৈরি করতে পাঁচ বছর সময় লেগেছে এবং এক হাজার ৭০০ কোটি মার্কিন ডলার খরচ হয়েছে। একছাদের নীচে সব টার্মিনাল থাকা বিশ্বের অন্যতম বড় বিমানবন্দরটিতে যতটা সম্ভব প্রাকৃতিক আলো ব্যবহারের সুযোগ রাখা হয়েছে। ছাদের ফাঁকা স্থান থেকে আলো একেবারে নীচ অবধি পৌঁছাতে পারে। বিমানবন্দরটির ডিজাইনে প্রাধান্য দেয়া হয়েছে সাদাকে।
বিমানবন্দরটির আকার বড় বলে অনেকে মনে করতে পারেন চেক-ইনের পর বুঝি লম্বা পথ হাঁটতে হবে। তবে চীনা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, নিরাপত্তা বলয় পার হওয়ার পর বিমানে পৌঁছানোর দূরত্ব কোনক্ষেত্রেই ছয়শো মিটারের বেশি হবে না। অর্থাৎ দেখতে বড় মনে হলেও ডিজাইনের কারণে হাঁটতে হবে কম।
আগামী দশকের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পেছনে ফেলে বিশ্বের সবচেয়ে বড় এভিয়েশন মার্কেটে পরিণত হতে চায় চীন। সেই লক্ষ্য পূরণে এই বিমানবন্দর বিশেষ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
চীনা নেতারা জানিয়েছেন যে ডেক্সিং হবে প্রযুক্তিগত দিক দিয়ে বিশ্বের সবচেয়ে আধুনিক বিমানবন্দর। হুয়াওয়ে বিমানবন্দরটিতে ফাইভ জি সেবা প্রদান করবে যা পুরো বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপনাকে গতিময় করার পাশাপাশি যাত্রীদের জন্যও সর্বাধুনিক ইন্টারনেট সেবা নিশ্চিত করবে। পাশাপাশি চেক-ইন এবং নিরাপত্তা চেকপোস্টে চেহারা সনাক্তকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। সূত্র: ডয়চে ভেলে