উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে যারা প্রার্থী হয়েছেন বা দলীয় প্রার্থীর বিপক্ষে কাজ করেছেন এমন দেড়শ জনকে কারণ দর্শানোর নোটিস দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। গতকাল এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, উপজেলা পরিষদের নির্বাচনে যারা বিদ্রোহী ছিল, তাদের শোকজ করার সিদ্ধান্ত আগে থেকেই ছিল। আজকে সেটা বাস্তবায়নের প্রসেস কীভাবে দ্রুত করা যায়,  সেটা আলোচনা করেছি। রোববার পর্যন্ত ১৫০ এর মতো শোকজ নোটিশ ইস্যু হবে। শোকজের জবাবের জন্য তিন সপ্তাহ সময় দেয়া হবে। বিদ্রোহী প্রার্থীর মদদদাতা হিসেবে মন্ত্রী, সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয়  নেতাদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ এসেছিল। তারা নোটিশ পাচ্ছেন কি না-জানতে চাইলে কাদের বলেন, এমপি-মন্ত্রী যারা মদদদাতা, তারাও শোকজ পাবেন। মদদদাতাদের মধ্যে কেন্দ্রীয় নেতাও থাকতে পারে। যাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করা ও মদত দেয়ার অভিযোগ আছে, তারা সবাই শোকজ পাবেন।

এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিজেদের দ্বন্দ্বে জাতীয় পার্টি দুর্বল হয়ে গেলে এখানে তো আমাদের কিছু করার থাকে না। জাতীয় পার্টিতে বিবাদমান দুই পক্ষই আওয়ামী লীগের দিকে তাকিয়ে আছে- এমনটা বলা হলে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় পার্টি তো আওয়ামী লীগের কোনো শাখা সংগঠন নয় যে এটা আওয়ামী লীগকে দেখতে হবে। এটা তাদের বিষয়, তারাই দেখবে। এখানে প্রধানমন্ত্রীর কোনো দায়িত্ব নেই।

এক প্রশ্নের জবাবে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক দাবি করেন, দুর্নীতি নির্মূল না হলেও এখন তার সঙ্গে মন্ত্রী-এমপিদের সম্পৃক্ততা নেই। রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ  কেন্দ্রের আবাসন প্রকল্পে বালিশ কেনা, ফরিদপুর  মেডিকেলের পর্দা কেনা নিয়ে বিএনপি নেতারা দাবি করেছেন, সরকারের দুর্নীতি ও লুটপাট এখন সর্বোচ্চ পর্যায়ে। এর জবাবে কাদের বলেন, এ ধরনের ছিঁচকে কাজগুলো যারা করে, যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কিন্তু কোনো এমপি কিংবা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী নন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলের হাওয়া ভবনকেন্দ্রিক দুর্নীতির বিষয়গুলো তুলে ধরে তিনি বলেন, এখানে তো হাওয়া ভবনের মতো লুটপাটের বিষয় নেই। লুটপাটের কোনো ভবন এই সরকারের আমলে নেই। বালিশ আর পর্দার সঙ্গে তো হাওয়া ভবনের লুটপাটের বিষয় মেলালে চলবে না।

সংবাদ সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, আবদুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন, আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, এনামুল হক শামীম, মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, বি এম  মোজাম্মেল হক, উপ দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।