খালেদা জিয়া
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের ওপর চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন শুনানি হতে পারে।
বিচারপতি ফরিদ আহমেদ ও বিচারপতি এ এস এম আবদুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ রোববার জামিন আবেদনটি দাখিল করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা।
আবেদনটি আদালতের কার্যতালিকায় আসার পর তার ওপর শুনানি হবে বলে জানিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় দণ্ডিত হয়ে হাইকোর্ট আপিল করেন খালেদা জিয়া। এই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণের পর জামিন চেয়ে গত ৩১ জুলাই বিফল হন খালেদা জিয়া। গত ৩ সেপ্টেম্বর ফের জামিনের আবেদন করেন তিনি। আজ খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আবেদনটি আদালতে দাখিল করেন।
আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, মাহবুব উদ্দিন ও কায়সার কামাল। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
পরে কায়সার কামাল প্রথম আলোকে বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসনের জামিন চেয়ে করা আবেদনটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছেন হাইকোর্ট। এখন চলতি সপ্তাহের যেকোনো দিন এই জামিন আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে।
গত বছরের ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫-এর বিচারক। রায়ে খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড ও ১০ লাখ টাকা অর্থদণ্ড করা হয়।
বিচারিক আদালতের দেওয়া ওই সাজা বাতিল ও খালাস চেয়ে গত বছরের ১৮ নভেম্বর হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন খালেদা জিয়া। এর গ্রহণযোগ্যতার ওপর শুনানি নিয়ে গত ৩০ এপ্রিল হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করেন। একই সঙ্গে ওই মামলায় খালেদা জিয়াকে বিচারিক আদালতে দেওয়া জরিমানার আদেশ স্থগিত করেন হাইকোর্ট। এ ছাড়া বিচারিক আদালতে থাকা মামলাটির নথি তলব করেন হাইকোর্ট। দুই মাসের মধ্যে নথি পাঠাতে বলা হয়।
বিচারিক আদালত থেকে মামলার নথি গত ২০ জুন হাইকোর্টে পাঠানো হয়। এরপর খালেদা জিয়ার জামিন আবেদন আদালতে তুলে ধরেন তাঁর আইনজীবীরা। শুনানি নিয়ে বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত ৩১ জুলাই জামিন আবেদন খারিজ করেন।
দুর্নীতির পৃথক দুটি মামলায় দণ্ডিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য বর্তমানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছেন।