আলোচিত টেন্ডার মাফিয়া জি কে শামীম আগামী নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে নৌকার প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করে মেয়র হওয়ার খায়েশ প্রকাশ করেছিলেন। এ জন্য নৌকার মনোনয়ন ও নির্বাচনে খরচ করতে ১০০ কোটি টাকার বাজেট হাতে রেখেছিলেন শামীম। এমন তথ্যের ভিত্তিতে সত্যতার অনুসন্ধানে বেশ কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থা মাঠে নেমেছে।
একাধিক গোয়েন্দা সূত্র বলছে, বর্তমান সিটি করপোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভীকে ঠেকাতে নারায়ণগঞ্জে বেশ কয়েকজন নেতা এই পরিকল্পানা নিয়েছিলেন। অবশ্য এ সূত্রের দাবি, নাসিক মেয়র হতে খোদ জি কে শামীম-ই আগ্রহ দেখিয়েছিলেন।
সূত্রটি আরো জানায়, জি কে শামীম নারায়নগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র হতে চেয়েছিলেন। পরবর্তী নির্বাচনে সেলিনা হায়াত আইভীকে মনোনয়ন না দিয়ে তাকে যেন মনোনয়ন দেয়া হয় সেজন্য উদ্যোগও নিয়েছিলেন জি কে শামীম। এজন্য একাধিক আওয়ামী লীগ নেতার সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নেতার সঙ্গে দেন দরবারও করার চেষ্টা করেন তিনি। অবশ্য কারো কাছ থেকে তিনি এ ব্যাপারে ইতিবাচক আশ্বাস পাননি। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের অনেক প্রভাবশালী নেতারই জি কে শামীমের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। আর জি কে শামীম যেন মেয়র পদে মনোনয়ন পান সেজন্য তারা চেষ্টা তদবির করবেন বলেও আশ্বাস দিয়েছিলেন। যদিও নারায়নগঞ্জ আওয়ামী লীগ থেকে এখন এসব অস্বীকার করা হচ্ছে।

জানা গেছে, জি কে শামীম যুবলীগের ওই নেতাকে বলেছিলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র পদে যদি তাকে মনোনয়ন দেয়া হয় তাহলে তিনি ১০০ কোটি টাকারও বেশি খরচ করতে পারবেন। এ ব্যাপারে টাকার কোন অভাব হবে না। যত টাকা লাগে তা তিনি দিতে প্রস্তুত আছেন।
তবে গোয়েন্দা অনুসন্ধান বলছে, আওয়ামী লীগের অধিকাংশ নেতাই সেলিনা হায়াত আইভীর মতো পরিচ্ছন্ন নেতার বদলে জি কে শামীমের মতো টেন্ডার মাফিয়াকে মনোনয়র পাইয়ে দেয়ার বিরোধীতা করেছিলেন।