কিসে সবচেয়ে বেশি ভয় পান বিল গেটস? নিজেই জানিয়ে দিলেন, ‘আমি চাই না আমার মস্তিষ্ক কাজ করা বন্ধ করুক।’ পছন্দের খাবার? ‘হ্যাম বার্গার।’ পছন্দের প্রাণী? ‘কুকুর।’ একের পর এক প্রশ্ন করতে থাকেন উপস্থাপক। উত্তরে নিজের পছন্দ-অপছন্দের কথা বলতে থাকেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা। ট্রেলারের শুরুটা এমনই।
বিল গেটসকে নিয়ে তিন পর্বের প্রামাণ্যচিত্র তৈরি করেছে নেটফ্লিক্স। অস্কারজয়ী পরিচালক ডেভিস গুগেনহাইমের পরিচালনায় ‘ইনসাইড বিলস ব্রেইন: ডিকোডিং বিল’ গেটস নামের এই প্রামাণ্যচিত্র ২০ সেপ্টেম্বর থেকে ভিডিও স্ট্রিমিং ওয়েবসাইটটিতে দেখা যাবে। সম্প্রতি ইউটিউবে সিরিজটির ট্রেলার প্রকাশ করা হয়। খোদ বিল গেটসও টুইটারে ট্রেলারটি পোস্ট করে লেখেন, ‘আমার কাজ ও জীবন নিয়ে নেটফ্লিক্সের ডকুসিরিজ তৈরিতে আমি কয়েক বছর ধরে অংশ নিয়েছি এবং ২০ সেপ্টেম্বরে তা মুক্তি পাচ্ছে। আশা করছি, তারা যা তৈরি করেছে, তা আপনাদের ভালো লাগবে।’
বিল গেটস কীভাবে কাজ করেন, কীভাবে সমস্যার সমাধান দেন এবং কীভাবে সাফল্য ও খ্যাতির চূড়ায় পৌঁছালেন, তা-ই ডকুমেন্টারি সিরিজটির বিষয়বস্তু। এর সঙ্গে তাঁর ব্যক্তিজীবনের অজানা দিকও থাকবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে নেটফ্লিক্স।
ট্রেলারটিতে বিল গেটসের স্ত্রী মেলিন্ডা গেটসও ছিলেন। তাঁকে নিয়ে মেলিন্ডা বলেন, বিল হলো মাল্টিপ্রসেসর। সে হয়তো কোনো বই পড়ছে এবং একই সঙ্গে সম্পূর্ণ ভিন্ন কোনো কিছু তাঁর মাথায় কাজ করে যাচ্ছে।
মাইক্রোসফটকে একসময় বিশ্বসেরা তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানে পরিণত করেন বিল গেটস। অবসর নেওয়ার পরও নানা দাতব্য কাজ করছেন। মানুষের নানা সমস্যার সহজ সমাধান খুঁজে বেড়াচ্ছেন। কাজগুলো তিনি কীভাবে করেন? প্রথমে নিজ মনে একটি কাঠামো দাঁড় করান। এরপর তথ্যগুলো সাজাতে শুরু করেন। আর কোনো কিছু যদি না মেলে, তবে তাঁর মধ্যে হতাশা কাজ করে। আর তা ভয়ংকর বলে মন্তব্য করেছেন মেলিন্ডা। সঙ্গে যুক্ত করেন, তবে দিন শেষে বিল এমন কোনো আইডিয়া বের করতে পারেন, যা অন্যরা দেখতে পান না। ট্রেলারটি ইউটিউব বা নেটফ্লিক্সে দেখা যাবে।